শেখ সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি: একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছেন এ অভিনেতা।
গত সপ্তাহে রাজধানী ঢাকার পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে নাসিম বলেন, ‘গত সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাসুম ভাইকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থা খারাপ হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
মাসুম আজিজ অভিনেতা ছাড়াও চিত্রনাট্যকার ও নাট্য নির্মাতা হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।
১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ৪০০-এর অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন।
‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মোহাম্মাদ মাসুম আজিজ। ২০২২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ও নাট্যকার পাবনার কৃতি সন্তান মোহাম্মাদ মাসুম আজিজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার জন্য দোয়া কামনা করছেন পাবনাসহ দেশের তার ভক্ত অনুরাগীরা। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার তৃণমূল কবিদের নিয়ে একটি সৃজনশীল অ-রাজনৈতিক সংগঠন “কবি সংসদের” সদস্য সচিব কবি নুরুজ্জামান সবুজ মাষ্টার একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজের জন্য দোয়া কামনা করে দৈনিক প্রত্যয় কে বলেন, তিনি অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষ।
তিনি আরো বলেন, হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ৪০০-এর অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি তার কর্মগুনে ২০২২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। সত্যিই আমরা গর্বিত তিনি আমাদের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভাঙ্গুড়া “কবি সংসদের” পক্ষ থেকে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন নুরুজ্জামান সবুজ মাষ্টার।